Please complete verification to access this content.
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ/লিজ/অগ্রিমের শ্রেণীকরণের বিষয়ে ইতিপূর্বে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। এখন একই কারণে যেসব গ্রাহক সাময়িকভাবে কিস্তি পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাদের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত হলো।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো ধরনের অতিরিক্ত মাশুল, সুদ বা কমিশন আদায় করা যাবে না। এর আগে গত বছরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের একই সুবিধা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে গত ডিসেম্বরেই তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এর ফলে মার্চের কিস্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ হলে, তা বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না।
এসময়ের জন্য মাশুল, সুদ বা কমিশনের নামে কোনো অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। গত বছরে ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের কিস্তি শোধ না করলেও খেলাপি হননি।
সেসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোনো গ্রাহক কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে আগামী জানুয়ারি থেকে ওই কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনরায় নির্ধারণ করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রসঙ্গত বর্তমানে দেশে ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে।