Please complete verification to access this content.
রোববার সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর, রামপুরা ব্রিজ, আবুল হোটেল, মালিবাগ, ধানমন্ডি, শনির আখড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে রিকশা, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও চুক্তিভিত্তিক মোটরসাইকেল চলাচল করছে।
শুধু যানবাহন নয় আজ দোকানপাটও আগের চারদিনের তুলনায় বেশি খোলা রয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে না, এমন দোকানও খোলা থাকতে দেখা গেছে।
কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হওয়া কয়েকজন দিনমজুরের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বিধিনিষেধের গত চার দিন হাতে থাকা টাকা খরচ হয়েছে ঘরে বসে। এখন ঘরে বসে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে, তাই তারা কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন।
রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় কথা হয় নির্মাণ শ্রমিক মো. গাজী সাঈদ জুম্মনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি যোগালি হিসেবে কাজে যাই। কিন্তু এখন সব বন্ধ থাকায় কাজ নাই। ঘরে বসে কত দিন খাওয়া যায়? তাই রাস্তায় বের হয়েছি কোনো কাজ যদি পাওয়া যায়।
ব্যাংকে লেনদেন করতে আসা মো. হোসেন শিকদার নামে এক ব্যক্তি জানান, লকডাউনের ফলে মন্দা দেখা দিয়েছে তার ব্যবসায়। দুপুরের পর ব্যাংক বন্ধ থাকায় সকালে ব্যবসার কাজের জন্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে এসেছেন।
এদিকে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশকে রাস্তায় দেখা গেলেও রয়েছে ঢিলেঢালা ভাব। অনেক সময় রিকশা বা প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল থামিয়ে বের হওয়ার কারণে জানতে চাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন চেকপোস্টে। আবার অনেক চেকপোস্টে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।
রামপুরা পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক মর্যাদার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। তবে পঞ্চম দিনে মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। আমাদের চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করা সবাইকে চেক করে মুভমেন্ট পাস দেখছি এবং বের হওয়ার যুক্তিযুক্ত কারণ জানার চেষ্টা করছি।