Please complete verification to access this content.
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল দেশটির নাতাঞ্জের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম রেজা কারিমি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয়েছে, নাতাঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনার আগমুহূর্তে রেজা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি নাকি ইন্টারপোলের তৈরি অপরাধীদের তালিকাভুক্ত; যদিও ইন্টারপোল এ বিষয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনাটি ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে মধ্যাঞ্চলের ইসপাহান প্রদেশের মরুভূমি এলাকায় অবস্থিত। কেন্দ্রটি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত। ১১ এপ্রিল স্থানীয় সময় সকালে কেন্দ্রটিতে ‘বৈদ্যুতিক গোলযোগ’ দেখা দেয় বলে খবর বের হয়। তবে প্রাথমিকভাবে এর কারণ নির্ণয় করা যায়নি। ওই সময় ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র জানান, কেন্দ্রে বৈদ্যুতিক গ্রিডে সমস্যা হয়েছে। এ সমস্যা থেকে একটা অঘটন ঘটেছে। তবে এতে হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো দূষণও ছড়ায়নি। পরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিবিষয়ক প্রধান আলী আকবর সালেহি বলেছিলেন, এটি পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ।
ইরান এ ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে। তবে এমন অভিযোগের বিষয়ে ইসরায়েল কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। দেশটি অভিযোগ স্বীকারও করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি। তবে ইসরায়েলের সরকারি রেডিও সার্ভিসে দেশটির গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এ হামলা চালিয়েছে।
এ হামলা এমন সময় করা হয়, যার কিছুদিন পরই ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল ইরানের। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানির সঙ্গে এ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ইরানের। ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা।