Please complete verification to access this content.
শনিবার দুপুর থেকেই ফতুল্লার দাপা নূর মসজিদ এলাকায় রুমকী আব্দুল খায়েরের পুত্র রবিউল আলম লাভলুর (২৬) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অনশনে বসা ওই নারী ফতুল্লার দক্ষিণ শিয়াচর ইয়াদ আলী মসজিদ এলাকার ফজর আলী মীরের মেয়ে রুমকী মনি।
রুমকী বাড়িতে অবস্থানের পর পরই ছেলে কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে বুঝিয়ে তার পিতার বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ করে ব্যর্থ হলে এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।
রুমকী মনি বলেন, প্রেমের সম্পর্কের কারণে সে তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রবিউল আলম লাভলুর (২৬) সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক কাজীর মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড় এলাকায় ভাড়ায় বেশ কিছুদিন বসবাস করে। কিন্তু বিয়ের চার মাস পর তার স্বামী তাকে না বলে ভাড়া বাসায় তাকে ফেলে রেখে চলে আসে।
পরবর্তীতে সে তার স্বামীর বাসায় এলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে গত দুই বছরে থানা পুলিশ, সামাজিক বিচার-শালিসী হলেও তারা তাকে বাসায় তুলছে না। এক পর্যায়ে রুমকি তার স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাদেরকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়ার কথা বললে সে আদালতে দাঁড়িয়ে তার স্বামী ও শ্বশুরকে জামিনে বের করে নিয়ে আসেন।
এদিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে তারা তাকে মেনে নেয়া তো দুরের কথা উল্টো মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করে। তাই কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে স্ত্রীর অধিকার আদায়ে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করেছেন এবং তা মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করবেন বলে রুমকি মনি জানান।