Please complete verification to access this content.
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের এ পর্যন্ত ২ লাখ ৫০ হাজার জনের পাস ইস্যু করা হয়েছে। আর প্রতি মিনিটে ২১ হাজার ৩৩৭ জন মুভমেন্ট পাসের ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, এর মধ্যে ৭ কোটি ৮১ লাখ মুভমেন্ট পাস সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন। এত মানুষ ঘর থেকে বের হলে কঠোর লকডাউনের সুফল আসবে কি?
এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা মোবিন বলেন, মুভমেন্ট পাশ নিয়ে এত মানুষ বের হলে আসলে লকডাউনের কোনও সুফল আমরা পাবো না। এই পাশ নিয়ে অনেকেই কোন কাজ ছাড়াই বের হচ্ছেন।
বুধবার রাজধানীতে সরেজমিন দেখা যায়, মানুষ মুদি দোকানে যাওয়ার নাম করে পাস নিয়ে ঘুড়ি কিনতে যাচ্ছেন, হাসপাতালের নাম করে আত্মীয় বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বাংলামোটরে দায়িত্বরত সার্জেন্ট মাহমুদ হাসান বলেন, অনেকেই বের হয়ে বলছে তারা লকডাউন সম্পর্কে জানে না। কেউ আবার বিনা প্রয়োজনেই বের হয়েছে। কেউই ঠিকমতো সদুত্তর দিতে পারছে না। বের হওয়ার কারণ ও প্রয়োজন জরুরি মনে না হলে তাদের নামে আমরা মামলা দিচ্ছি।
পুলিশ সদর সদরদপ্তরের (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) শাখার এআইজি মো. সোহেল রানা বলেন, জরুরি প্রয়োজনের ভিত্তিতে যারা মুভমেন্ট পাসের জন্য আবেদন করছেন, তাদের প্রয়োজনীয়তার যুক্তিযুক্ত বিবেচনায় আমরা পাস দিচ্ছি।
সোহেল রানা আরও বলেন, সবাইতো একই সময়ে একই জায়গা যাচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজনে বের হতে চাইলে কাউকে বাধা দেয়া যাবে না। তবে অযথা বাইরে ঘোরাফেরা করছে কিনা সে বিষয়ে পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং মাস্ক পরে বাইরে বের হতে হবে।