Please complete verification to access this content.
এ অর্থ পরিশোধ না করলে জাহাজটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বলে বুধবার সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, চারটি ফুটবল মাঠ থেকেও লম্বা জাহাজটি এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ নৌপথটি আটকে দিয়েছিল। এর কারণে প্রতিদিন মিসর ১২ থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব হারিয়েছে বলে খাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
২০১৮ সালে তৈরি পানামার পতাকাবাহী জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার। প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টন ওজনের জাহাজটি ২০ হাজার কনটেইনার ধারণ করতে সক্ষম। জাহাজটি প্রায় ১৮ হাজার ৩০০ কনটেইনার বহন করছিল। জাপানি প্রতিষ্ঠানের মালিকানার জাহাজটি তাইওয়ানের এভারগ্রিন মেরিন করপোরেশন লিজ নিয়ে পরিচালনা করছে। তবে এর ক্যাপ্টেন-সহ নাবিকদের সবাই ছিলেন ভারতীয় নাগরিক।
সরকারি সংবাদপত্র আল-আহরামকে সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের (এসসিএ) প্রধান ওসামা রাবি বলেন, ৯০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমভি এভার গিভেন জব্দ করা হয়েছে। ইসমাইলিয়া ইকোনমিক কোর্টে রাবি জানান, নোঙর করা অবস্থায় এবং চলাচলের সময় জাহাজটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচের ভিত্তিতে এ ক্ষতিপূরণ হিসাব করা হয়েছে।
ক্ষতিপূরণের এ অঙ্ক কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে জাহাজটির মালিক জাপানি প্রতিষ্ঠান শোয়েই কিসেন কাইশাকে বিশদভাবে কিছু জানাননি ওসামা রাবি। তবে এসসিএর একটি সূত্র গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মালিক প্রতিষ্ঠান, ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান ও খাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে।
গত ২৯ মার্চ মুক্ত হওয়ার পর এভার গিভেন এখন সুয়েজ খালের গ্রেট বিটার লেকে নোঙর করা আছে। জাহাজটির কারণে খালের উত্তর ও দক্ষিণ প্রবেশমুখে সাময়িক বন্ধ থাকায় ৪২০টি জাহাজের জট তৈরি হয়। এপ্রিলের প্রথম দিকে এ জাহাজজট ছাড়ে।