Please complete verification to access this content.
১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই মেলায় প্রত্যাশিত বিক্রির ধারেকাছেও যেতে পারেননি প্রকাশকরা। এমনকি অনেকের স্টলের খরচ পর্যন্ত উঠেনি। মহামারির কারণে আরোপিত বিধি-নিষেধে মেলাবিমুখ ছিলেন পাঠক-দর্শনার্থীরাও।
আজ সোমবার বিকেলে শেষ হয়েছে এবারের বইমেলা। তবে মহামারির কারণে ছিল না শেষের কোনো আনুষ্ঠানিকতা। অনেকটা মন খারাপ করেই প্রকাশকরা এবারের মতো বিদায় নিলেন মেলা প্রাঙ্গণ থেকে। যারা সারা বছর এই মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন তারা চরম হতাশ। ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইতিমধ্যে প্রকাশকরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
প্রতি বছর মেলার সেরা বই ও স্টল সজ্জাসহ বিভিন্ন পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এবার সেসব পুরস্কার পরবর্তী সময়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।
তবে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। সেরা তিন প্রতিষ্ঠান হলো যথাক্রমে উড়কি (স্টল নম্বর-৪৩), সংবেদ (স্টল নম্বর-১৮৯, ১৯০) ও কথাপ্রকাশ (প্যাভেলিয়ন-২০)।
এবার মেলায় প্রকাশিত মোট নতুন বইয়ের সংখ্যা দুই হাজার ৬৪০টি। গত বছর মেলায় মোট চার হাজার ৯১৯টি বই প্রকাশিত হয়েছিল। গত বছর বাংলা একাডেমি দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকার বই বিক্রি করলেও এবার মাত্র ৫০ লাখ টাকার মতো বই বিক্রি করেছে। মেলায় গত বছর সব প্রকাশনার হিসাব মিলিয়ে মোট ৮২ কোটি টাকার বই বিক্রির তথ্য জানিয়েছিল বাংলা একাডেমি। তবে এবার তাদের কাছে এই তথ্য নেই।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অমর একুশে বইমেলা হলেও এবারই প্রথম করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় মাস পিছিয়ে এই মেলা শুরু হয়। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মেলা চলার কথা থাকলেও তা দুই দিন কমানো হয়। এর মধ্যে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু হলে মেলার সময় কমিয়ে দিয়ে বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়।