Please complete verification to access this content.
বর্তমানে পেঁয়াজের বাজারও বেশ ভাল। ফলে কৃষকের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৫‘শ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১‘শ হেক্টর বেশি জমিতে। ইতিমধ্যে উঁচু জমিতে আবাদ করা পেঁয়াজ উপজেলার হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে।
আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে পেঁয়াজ উঠা শুরু হবে। কিন্তু বর্তমানে পেঁয়াজের বাজার ভাল হওয়ায় কৃষকরা আগে-ভাগেই উঠানো শুরু করে দিয়েছেন বলে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক কামরুজ্জামান জানান।
উপজেলার বোনকোলা গ্রামের কৃষক ডাঃ মাজেদুল হক বলেন এ বছর প্রতিবিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করতে সার, বীজ এবং শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০থেকে ৩৫হাজার টাকা। প্রতিবিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে গড়ে ৫০ থেকে ৬০মণ। বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪‘শ থেকে ১৫‘শ টাকা দরে। সে হিসাবে প্রতিবিঘা জমিতে উৎপাদিত পেঁয়াজের বিক্রয় মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭০থেকে ৯০হাজার টাকা যা, উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে পেঁয়াজের বর্তমান এ বাজারে কৃষক ভীষণ খুশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ময়নুল হক সরকার বলেন, পেঁয়াজের বর্তমান বাজার কৃষকের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। তাছাড়া এ বছর উপজেলার সর্বত্র পেঁয়াজের ফলনও হয়েছে বেশ ভাল।