Please complete verification to access this content.
বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপিকে প্রধান এবং শাহাজান খান এমপি ও সাবেক সচিব রশিদুল আলমকে সদস্য করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। জামুকা যেসব অপরাধের জন্য জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সংবিধান লঙ্ঘন, সংবিধানের মূলনীতি বাতিল, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের মদদ দেওয়া ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা, বিভিন্ন সময় আত্মস্বীকৃত খুনিদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ, আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততামূলক বক্তব্য উল্লেখ থাকা, তাঁদের দেশত্যাগে সহায়তা ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন।
জিয়ার খেতাব বাতিলের বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রধান মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। সেই ব্যক্তি খেতাবধারী থাকবেন তা তো মেনে নেওয়া যায় না। এ জন্যই তাঁর রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জিয়াউর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা সনদও বাতিল হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুধু খেতাবটাই আপাতত বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন।’
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জামুকার সভায় জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরীফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক হিসেবে ৬৮ জনকে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয়েছিল এবং এ তালিকায় তিন নম্বরে ছিল জিয়াউর রহমানের নাম।