Please complete verification to access this content.
বার্সেলোনায় এখন ঘোর অমানিশা। ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর এই প্রথম শিরোপাহীন মৌসুম কাটাল দলটা। শিরোপাহীন কাটালেও সমস্যা হওয়ার কথা না, তবে, দলের অবস্থা যেমন, তাতে এই শিরোপাহীন অধ্যায়টা আরও কত দিন ধরে চলবে, সে ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। খেলোয়াড়দের ফর্ম, মনোবল, বোর্ড ও কোচিং দলের অবস্থা, ক্লাবের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি – সব দিক দিয়েই অন্ধকার একটা অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ক্লাবটা।
লিওনেল মেসিও কী বুঝতে পারছেন সেটা? মেসি কী বুঝতে পারছেন ক্যারিয়ার-সায়াহ্নে এসে বার্সেলোনা তাঁকে ট্রফি জয়ের তেমন সুযোগ করে দিতে পারছে না? না বুঝলে এই বয়সে এসে ক্লাব ছাড়তে চাইবেন কেন? হ্যাঁ, খবর এমনই। বার্সেলোনা ছাড়তে চাইছেন দলটির প্রাণভোমরা।
বোর্ডকর্তাদের ওপর মেসির অসন্তুষ্টির বিষয়টা আজকের নতুন নয়। তা ছাড়া মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে যুক্ত হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ন্যক্কারজনক পরাজয়। যে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্পর্শ পাওয়ার জন্য গত কয়েক বছর ধরে হন্য হয়ে ঘুরছেন মেসি, সে টুর্নামেন্ট থেকে এমন ভাবে বিদায় নেওয়াটা হয়তো মেনে নিতে পারছেন না। তাই রব উঠেছে, ডুবতে থাকা বার্সেলোনাকে টেনে তোলার কাজ আর একা করবেন না আর্জেন্টাইন তারকা।
আর এই খবর দিয়েছেন প্রখ্যাত ইউরোপিয়ান সাংবাদিক মার্সেলো বেকলার। গত বছর শোনা গিয়েছিল, ক্লাব ছাড়লে ২০২১ সালে ছাড়বেন মেসি। কিন্তু বায়ার্নের বিপক্ষে হারের পর মেসি ধৈর্যহারা হয়ে গিয়েছেন। ২০২১ নয়, এখনই ক্লাব ছাড়তে চান এই কিংবদন্তি। তিনি টুইটারে স্প্যানিশ ভাষায় এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘মেসি বার্সেলোনাকে বলেছেন এই গ্রীষ্মেই তিনি ক্লাব ছাড়তে চান। ক্লাবের ভালো দল গড়ার পরিকল্পনা আছে, এমন কিছু প্রমাণ করতে পারলে তিনি তার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন। আমাকে ক্লাবের এক সূত্র জানিয়েছে ক্লাব ছাড়ার এমন তীব্র ইচ্ছা আগে কখনোই তার মধ্যে দেখা যায়নি।’
এই বেকলার এস্পোর্তে ইন্তেরাতিভো ও রেডিও ইতাতিয়াইয়ার সাংবাদিক। বার্সেলোনার হাঁড়ির খবর বের করে আনার জন্য গত কয়েক বছর ধরে যিনি বেশ বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই ২০১৭ সালে নেইমারের বার্সেলোনা থেকে বার্সেলোনা ছাড়ার খবরটি দিয়েছিলেন। তবে শেষমেশ ক্লাব আদৌ ছাড়বেন কি না, সে নিয়ে সন্দেহ থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে এ কথা নিশ্চিত, বার্সার কর্তাব্যক্তিদের একটা হুঁশিয়ারি দিতে চাইছেন এই তারকা। বার্সেলোনা সমর্থকেরাও মনপ্রাণ দিয়ে চাইবেন, ব্যাপারটা যেন হুঁশিয়ারির পর্যায়েই থাকে! একটা দিক দিয়ে অন্তত একটু আশার আলো খুঁজে নিতে পারেন তারা। এই বেকলারই গত মৌসুমে বলেছিলেন, নেইমারের বার্সায় আসা নিশ্চিত। সেটা শেষমেশ হয়নি।