Please complete verification to access this content.
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জো বাইডেন শুধু আমেরিকার ভয়াবহ করোনা সংকট নিয়েই ব্যস্ত নন। পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সামলানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তার প্রশাসন। বিশেষ করে ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তার হাত শক্ত করতে বাইডেন রবার্ট ম্যালিকে ইরানের ভারপ্রাপ্ত বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। শুক্রবারই আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে ম্যালি ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি রূপায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পূ্র্বসূরি ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে আন্তর্জাতিক চুক্তি বর্জন করে ইরানের উপর আরো নিষেধাজ্ঞা চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছে। এমন চাপের মুখে গোটা বোঝাপড়ার ভিত্তি দুর্বল হয়ে উঠেছে। ইরানও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। এবার চুক্তির বাকি স্বাক্ষরকারী দেশগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ওয়াশিংটন তেহরানের সঙ্গে আবার আগের বোঝাপড়ায় আসার চেষ্টা করবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ ইরানের অন্যান্য বিতর্কিত কার্যকলাপ সম্পর্কে ট্রাম্প শিবির এবং বিশেষ করে ইসরায়েল ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলির গভীর সংশয় পুরোপুরি উপেক্ষা করা সহজ নয়।
বিশেষ দূত হিসেবে ম্যালির নাম উঠে আসায় রক্ষণশীল শিবির ইতিমধ্যেই ইরানের প্রতি নরম মনোভাবের অভিযোগ তুলছে। অন্যদিকে ক্লিন্টন ও ওবামা প্রশাসনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলে তিনি যথেষ্ট সমীহ অর্জন করেছেন। তার বাবা মিশরীয় সাংবাদিক ছিলেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে।