Please complete verification to access this content.
ব্রিটেনে প্রয়োগ শুরু হওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন হালাল বলে জানিয়েছে দেশটির চিকিৎসকদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন ও একদল ইসলামি বিশেষজ্ঞ।
দ্য ব্রিটিশ ইসলামিক মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিমা) এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রকাশিত সবগুলো তথ্য যাচাই করে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে ভ্যাকসিন উৎপাদনে কোনও পশু পণ্য বা পশু থেকে সংগৃহীত কোনও কোষ ব্যবহার করা হয়নি। খবর ল্যাংকাশায়ার টেলিগ্রাফের।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গণহারে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে ব্রিটেন। ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর প্রত্যাশার পাশাপাশি কিছু প্রশ্ন আর সন্দেহ জন্ম নিচ্ছে। বিশেষ করে দেশটিতে বসবাসরত ইসলাম ধর্মীদের জিজ্ঞাসা রয়েছে এতে ব্যবহৃত উপাদান ইসলামসম্মত কিনা।
বিমা জানায়, তাদের পক্ষ থেকে একাধিক সংক্রামক রোগ, ওষুধ শিল্প, ক্লিনিক্যাল মেডিসিন, কমিশনিং, অসমতার গবেষণা, জনস্বাস্থ্য ও বায়োইথিকস বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে। প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ভ্যাকসিনটি উৎপাদনে কোনও পশু পণ্য বা পশু থেকে সংগৃহীত কোষ ব্যবহার করা হয়নি।
ইউসুফ শাব্বির কর্তৃক প্রকাশিত একটি ফতোয়া সমর্থন করেছেন মুফতি শাব্বির আহমেদ, মুফতি মুহাম্মদ তাহির ও ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস কনসালটেন্ট মাওলানা কালিঙ্গাল রিয়াদ। এই ফতোয়াতেও বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভ্যাকসিনটি হালাল।
এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকার নিশ্চিত করেছে যে, ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের পশুর কোনও উপাদান নেই। আমরা ফাইজার কোম্পানির কাছে ভ্যাকসিনের উপাদান সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। তারা আমাদের তা জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে উদ্বেগের একমাত্র উপাদান ছিল কোলেস্টেরন। কারণ এটি পশুর চর্বি থেকে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। যদিও সাধারণত তা মুরগির ডিম থেকে সংগ্রহ করা হয়।