বুধবার (২১ মে) রাজধানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে গভর্নর এ কথা বলেন।
গভর্নর আরও বলেন, “আমরা চাই না আবার সেই পথে হাঁটি, যেটা অর্থনীতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়। আমাদের দায়িত্ব হলো একটি আংশিকভাবে পুনর্গঠিত অর্থনীতি একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া, যেন তারা আরও দক্ষতার সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে পারে।”
তিনি অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “দুর্দশাগ্রস্ত অর্থনীতি থেকে উত্তরণের জন্য দরকার ব্যাপক পরিবর্তন। আনুষ্ঠানিক খাতে আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলে রাজস্ব আয় বাড়বে। এজন্য দেশের আর্থিক লেনদেনে ক্যাশলেস পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি
গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অর্থনীতি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এটি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক সরকারকে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। বিপ্লবকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে, তাহলে অর্থনৈতিক বিপ্লব সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
গভর্নর বলেন, আমাদের একটা শক্ত ভিত্তির ওপর ব্যাংকিং খাত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমি সবাইকে সর্বোচ্চ মানে সেবা ও সাপোর্ট দিতে পারব। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। আমরা কেবল শুরুতে আছি। আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছিলাম। অনেক অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই দুর্ঘটনা থেকে একটা সুস্থ জীবনে ফিরতে সময় দিতে হবে। সেই প্রক্রিয়ায় আমরা আছি। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। রাজনৈতিক সরকারকেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
আর্থিক বৈষম্য দূর করার তাগিদ দিয়ে গভর্নর বলেন, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ সিংহভাগ ঋণ পাচ্ছে। এ বৈষম্য দূর করতে এজেন্ট ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এমএফএস এবং এজেন্ট ব্যাংক স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করলে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। বাধ্য হয়ে তারাও সুদের হার কমাবে।
গভর্নর আরও বলেন, ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে যে রিজার্ভ ২০ বিলিয়নে নেমে এসেছে, তা ৪০ বিলিয়নে উন্নীত করতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য অর্থনীতিকে গতিশীল করতে হবে। আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এ রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যার জন্য সময় প্রয়োজন।