ঘটনার পর ইশতিয়াক জানান, তাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। “তারা বলছে, ক্যাম্পাসে গেলে আমাকে মব দিয়ে হেনস্থা করবে,”—বলেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে, যখন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কাকরাইল মসজিদের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। রাত ১০টার দিকে একটি পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয়, যা সরাসরি তার মাথায় লাগে।
ঘটনার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা একে ‘নিকৃষ্ট’ ও ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। পরে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, “আমার প্রতি দীর্ঘদিনের হিংসা থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া হিংসাত্মক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।”
তবে রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন দাবি করেন, বোতল নিক্ষেপের ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী বা শিক্ষকরা জড়িত না
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত করেছে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।