তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, দেওয়ানী কার্যবিধিতে যুগান্তকারী বেশকিছু সংশোধন আনা হয়েছে, যা উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদন লাভ করেছে। খুব শীঘ্রই এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ফৌজদারি কার্যবিধিতেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমরা যদি বিচার কার্যক্রমের সময় অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারি এবং ৪০ শতাংশ মামলা জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে পারি, তাহলে বিচারপ্রার্থী মানুষের দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা। বক্তারা বিচার ব্যবস্থাকে আরও জনবান্ধব ও দ্রুতগামী করার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
পারিবারিক মামলা, এনআই এক্টের (Negotiable Instrument, Act) মামলা, আপসযোগ্য ফৌজদারি মামলাসহ ছোট ছোট মামলাগুলো বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থায় পাঠানো সম্ভব হলে আদালতগুলোতে বিপুল সংখ্যক মামলাজট কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোতে মাত্র একজন করে সহকারী/সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার বিচারক কাজ করছেন। কাজের গতি বাড়াতে এসব অফিসে একজন সিনিয়র সহকারী জজ ছাড়াও একজন যুগ্ম জেলা জজ এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নিয়োগ দেওয়া হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে আমরা এমন একটা পর্যায়ে উন্নীত করতে চাই, যেখানে অন্তত এক লাখ মামলা নিষ্পত্তি হবে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে সেখানে দুই লাখ মামলা নিষ্পত্তি হবে। এটা করা সম্ভব হলে বাংলাদেশে বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য অনেক বড় সুবিধা তৈরি করবে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সেরা প্যানেল আইনজীবীর হাতে সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট তুলে দেন আইন উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রধান সংস্থার পরিচালক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ আজাদ সুবহানী।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে সঙ্গে নিয়ে লিগ্যাল এইড রোড শো ও লিগ্যাল এইড মেলার উদ্বোধন করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।