Please complete verification to access this content.
এদিকে, নাটকের মাধ্যমে সনাতনী সম্প্রদায়কে কটাক্ষ এবং ধর্মান্তকরণ ও সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেয়ার অভিযোগ করে তিশা ও তার সহ-অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাদের আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) লিটন কৃষ্ণ দাসের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী সুমন কুমার রায়।
লিগ্যাল নোটিশপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে বিতর্কিত ‘বিজয়া’ নাটকটি প্রত্যাহার করতে নোটিশে উল্লিখিত অভিযুক্তদের প্রতি বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে দেশে প্রচলিত যে কোনো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের আশ্রয় নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
এ বিষয়ে পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ জানান, এমন নোটিশ হাস্যকর। কারণ, এখন পর্যন্ত নাটকের কোনো কিছুই আমরা প্রকাশ করিনি তারা কীভাবে নাটকের গল্প বুঝলেন? আগে তারা নাটকটি দেখুক তারপর মন্তব্য করুক। দর্শকের জন্য নাটক নির্মাণ করি। ধর্মে আঘাত লাগে এ রকম কাজ করার প্রশ্নই উঠে না।
গল্পকার শোয়েব চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত নাটকের পোস্টার ও টিজার কিছু্ই প্রচার হয়নি। আমার তো মনে হচ্ছে কেউ ক্রাউনের কাজে হিংসা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের ষড়যন্ত্র করছেন। এমন যদি কেউ ভেবে থাকেন তাহলে ভুল ভেবেছেন। শুটিংয়ের পর থেকেই বেশ কয়েকজন আমাকে, অভিনয়শিল্পী ও নাটকের টিমকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা বেশ কয়েকজনের তথ্য সংগ্রহ করেছি। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাকে বা এই নাটকের কাউকে হুমকি দিয়ে ফৌজদারি অপরাধ থেকে বিরত থাকুন।
তিশা জানান, নোটিশের ব্যাপারে অবগত নই। একটা কথা বলতে চাই ধর্মে আঘাত লাগে এ রকম কাজ কখনো করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। নাটকটি প্রচার হলে আগে দেখুন তারপর মন্তব্য করুন।
নাটকটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্টের ডেপুটি সিইও তাজুল ইসলামের জানান, ‘বিজয়া’ নিয়ে অশ্লীল মন্তব্যকারী এবং হত্যা হুমকিদানকারীর বিরুদ্ধে ক্রাউন কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে। এরই মধ্যে বেশকিছু অপরাধীর পরিচয় চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।