টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় প্রায় ৫ শতাধিক ওষুধ দোকানের মধ্যে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধ ভাবে চলছে প্রায় ২ শতাধিক ওষুধের দোকান। এছাড়াও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চলছে ওষুধের দোকান, অবাধে চলছে ওষুধ বিক্রি বাণিজ্য। ফলে জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ রোগীরা। প্রায়শই ঘটছে ভুল চিকিৎসা ও প্রাণহানির ঘটনা। স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জামসহ বিভিন্ন ওষুধের চাহিদা বাড়ায় এসব দোকানের ব্যবসা জমজমাট।
সরেজমিনে, নাগরপুর, ধুবড়িয়া, গয়হাটা সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দোকান মালিক ফার্মাসিস্ট ছাড়াই নিজেই সরাসরি ওষুধ বিক্রি করছে। কেউ কেউ ওষুধের দোকানে থেকে ওষুধ বিক্রির কাজ শিখে নিজেই ওষুধ দোকান দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রায় দোকানে ছিলো খুবই নিম্নমানের পরিবেশ। করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে নাগরপুর সহ প্রতিটি ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে অসংখ্য লাইসেন্স বিহীন ওষুধের দোকান। তবে এসব ফার্মেসিতে ওষুধ মজুদ, প্রদর্শন ও বিক্রয় ১৯৪৬ সালের ড্রাগস রুলস অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।পুরো উপজেলায় ড্রাগ লাইসেন্স এবং ফার্মাসিস্ট ছাড়া কয়টি ওষুধ দোকান রয়েছে তার সঠিক সংখ্যার তথ্য ড্রাগিস্ট মালিক সমিতির কাছে নেই বলে জানা যায়। বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নাগরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, নাগরপুরে প্রায় তিন শতাধিক ওষুধ দোকানের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু প্রায় দুই শতাধিকের বেশি ওষুধ দোকান লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করছে। লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ফার্মেসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি।
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসার রোকনুজ্জামান খান বলেন, আমরা অবৈধ ওষুধ দোকান সম্পর্কে জেনেছি। জেলা এবং উপজেলা ওষুধ প্রশাসন কে সাথে নিয়ে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত-ই-জাহান জানায়, লাইসেন্স এবং ফার্মাসিস্ট ছাড়া ওষুধ দোকান স্থাপন করা মোটেও উচিত নয়। আমরা উপজেলা প্রশাসন দ্রুত এই বিষয়ে ওষুধ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নিবো।