Please complete verification to access this content.
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের উত্তর লনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এ গাছ রোপণ এবং বেঞ্চ উৎসর্গ করেন।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বৃক্ষরোপণের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা একটা বিশেষ দিন। কারণ আমাদের যুদ্ধ বিজয়ের পর ১৭ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে আসেন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি (বঙ্গবন্ধু) ভাষণ দেন। সেই ভাষণটা তিনি দিয়েছিলেন বাংলা ভাষায়। এই সেপ্টেম্বর মাসে এত চমৎকার একটা জায়গায় চেয়ার উৎসর্গ করা হলো এবং একটা বৃক্ষরোপণ করা হলো, যা শতবর্ষের ওপর এই বৃক্ষটা টিকে থাকবে এবং শান্তির বার্তা বয়ে বেড়াবে।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা চেয়ার উৎসর্গ করা হলো, একটা বৃক্ষরোপণ করা হলো। বৃক্ষ এটা পরিবেশও রক্ষা করে, মানুষকে ছায়া দেয়, মানুষের জীবনকে রক্ষা করে। আর চেয়ারটার এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়, মানুষ এখানে শান্তিতে বসবে, কিছুক্ষণ আরাম করবে, চিন্তা করবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের এ জায়গা বসে থাকলে শুধু নিজের চিন্তা না, বিশ্বের মানুষের কথা চিন্তা করবে। সবচেয়ে বড় কথা জাতির পিতা সব সময় শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, সংগ্রাম করেছেন দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। বাংলাদেশের মানুষের দুঃখের কথাও যেমন ভেবেছেন, সারা বিশ্বের যারা ক্ষুধা দারিদ্রে জর্জরিত, শোষিত-বঞ্চিত মানুষ তাদের কথাও তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলেছেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। অধিবেশনে রোহিঙ্গা, জলবায়ু ও টিকা ইস্যুতে জোর দিবেন তিনি। সফর শেষে আগামী ১ অক্টোবর ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।