Please complete verification to access this content.
রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোমা থেকে ছয় মাইল অর্থাৎ ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাইরাগঙ্গো পর্বতে আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে- ভয় পেয়ে পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৯ জন, কারাগার থেকে পালানোর সময় ৪ জন এবং ২ জন লাভার আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ২০ লাখ বাসিন্দার শহরটির রাতের আকাশ নাইরাগঙ্গোর আগুনে লাল রং ধারণ করে। জ্বলন্ত লাভার বিস্ফোরণে দূর-দূরান্তে গিয়ে পড়ছে আগুনের ফুলকি। উত্তপ্ত লাভার ঢলের আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন স্থানীয়রা। বহু মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর মধ্যে বহুতল ভবনও রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্বাসনে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বলছে, ১৭০টি শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ১৫০ শিশুকে তাদের পরিবার থেকে আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে। এর আগে ২০০২ সালে গোমা শহরের নিকটবর্তী এই আগ্নেয়গিরিটির বিস্ফোরণ ঘটে। সেবার ২৫০ জনের মৃত্যু হয় এবং এক লাখ ২০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে যায়।