Please complete verification to access this content.
যুদ্ধবিরতির পর এখন চলছে উদ্ধারকাজ। ইসরাইলি হামলায় আরো অনেকের মতো আবু ইয়াহিয়ার বাড়িটিও বিধ্বস্ত হয়েছে। আবু ইয়াহিয়া তার বিধ্বস্ত বাড়ির কাছে একটি জলপাই গাছের নিচে বসে আছেন। এবারের ইসরাইলি হামলা শুরু হয়েছে হামাসের রকেট নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে। সূত্রপাত্র হয়েছিল পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জাররাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে। এর রেশ ধরে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী। আল্টিমেটাম দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস। আল্টিমেটামের সময় শেষ হয়ে গেলে রকেট নিক্ষেপ করে হামাস। আর সাথে সাথে নেমে আসে ইসরাইলি আগ্রাসন।
অনেকেই মনে করতে পারে, হামাস যদি রকেট নিক্ষেপ না করত, তবে হয়তো ইসরাইল হামলা চালাত না। কিন্তু গাজার লোকজন কিন্তু তা মনে করে না। এই ইয়াহিয়ার কথাই ধরা যাক। ইসরাইলের বিরুদ্ধে বেশ ক্রুদ্ধ তিনি। তিনি বলেন, আমার ৫০টি ছেলে থাকলে তাদের সবাইকে বলতাম, যাও- ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো।
তিনি এখন ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করছেন। তিনি কিন্তু দমে যাচ্ছেন না। রাতে তিনি এই ধ্বংসস্তুপের ওপরই ঘুমাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমার পরিবার আমাকে এই জায়গা ত্যাগ করতে বলেছে। কিন্তু আমি শুনিনি। এখানেই আমার বাড়ি।
এদিকে ইসরাইল ও গাজার মধ্যকার যুদ্ধবিরতি যাতে টিকে থাকে, তার চেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও মিসর, জর্ডান ও অন্যান্য দেশ চেষ্টা চালাচ্ছে। গাজায় কিছু সাহায্যও আসছে। সেগুলো বণ্টন করা হচ্ছে।
ইসরাইলি হামলায় গাজায় অন্তত ২৪৮ জন নিহত হয়েছে। অন্তত ছয় হাজার লোক তাদের বাড়িঘর হারিয়েছেন।