Please complete verification to access this content.
সরকারের সর্বশেষ ঘোষণায় বলা হয়েছিল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২৩ মে। আর বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ২৪ মে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো ঊর্ধ্বগতি থাকায় মানুষের চলাচল ও সার্বিক কাজকর্মে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।
শুধু তা–ই নয়, আরও কিছুদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রথমে তা সবার জন্য খুলবে না। প্রথমে শুধু এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণিকক্ষ খোলা হবে। তাদের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে ক্লাস করানোর পর পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আজ শনিবার বলেন, ‘যেহেতু চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, তাই ২৩ মে স্কুল–কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা সম্ভব হবে না।’
করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এর ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যা পড়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে। কতটুকু শিখল, সেটাও যাচাই করা যাচ্ছে না। জানা গেছে, এর আগে সরকার করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে ২৩ মে থেকে স্কুল–কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং ভারতীয় ধরন নিয়ে উদ্বেগ থাকায় চলমান বিধিনিষেধ বৃদ্ধির চিন্তাভাবনার পাশাপাশি স্কুল–কলেজ খোলাও পিছিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধের পর ৩০ মার্চ দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সেটিও সম্ভব হয়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।