Please complete verification to access this content.
গত শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যে চিকিৎসা দিয়েছিল সেটি এখনও অব্যাহত আছে। তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল আছে।
জানা গেছে, এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার কৃত্রিম অক্সিজেন নির্ভরতা অনেকাংশে কমেছে। তবে তার কিডনিতে সামান্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। চিকিৎসক ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা গত শুক্রবারের তুলনায় গতকাল উন্নতি হয়েছে। কিডনি সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকরা কাজ করছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারেও জোর আলোচনা চলছে। তবে, তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড মনে করছে, বিমানে দীর্ঘ সময় যাত্রার ধকল সহ্য করার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে হলে শুধু সরকারের অনুমতিই নয়, তার আরও শারীরিক উন্নতি প্রয়োজন। অন্যথা তাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে বলেই মনে করছেন তারা।
এদিকে আগে থেকেই আর্থ্রাইটিকস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন খালেদা জিয়া। এর সঙ্গে নতুন করে করোনা-পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় দলে ও পরিবারে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্বেগ। গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ হন। ২৭ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষা করা হলে এ দফায়ও তার ফল আসে পজিটিভ। এ অবস্থায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়। ৩ মে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক চিকিৎসক জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা গত শুক্রবারের তুলনায় গতকাল কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার অক্সিজেনের স্যাচুরেশন মাত্রা ১০০ শতাংশ। শুক্রবার এক লিটার অক্সিজেন লাগলেও গতকাল শনিবার আরও কম প্রয়োজন হয়েছে। অর্থাৎ অক্সিজেন নির্ভরতা কমেছে খালেদা জিয়ার। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল ছিল ৫ ও ৬ মে। সে অবস্থা পার করেছেন। গত ৭ মে থেকে তার উন্নতি শুরু হয়েছে। এখন তিনি স্থিতিশীল। তবে তার এমন স্থিতিশীলতা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকা দরকার। যদি তার অবস্থার ধারাবাহিক উন্নতি হয়, তবে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমানে বিদেশ যেতে পারবেন। তার রক্তচাপ স্বাভাবিক ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে, জানান ওই চিকিৎসক।