Please complete verification to access this content.
সেখানে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। রাজনীতিতে সদ্য হাতেখড়ি হওয়া নায়িকাকে ২০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করলেন মুকুল।
মমতা ব্যানার্জি যখন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গঠন করেন, সেই সময় তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মুকুল। ১৯৯৮ সালে যখন তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা হয়, সেই সময় দলের প্রতিষ্ঠা-পত্রে যাঁরা স্বাক্ষর করেছিলেন, মুকুল তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ২০০১ সালে উত্তর ২৪ পরগণার জগদ্দল থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু হরিপদ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন। তার পর আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর ২০ বছর পর এ বার ফের ভোটের ময়দানে নামেন। তাতেই কাটল জয়ের খরা। ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল। তার পর যত সময় এগিয়েছে, ততই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তিনি। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বও পান। ২০২১-এ তাঁর ভোটে নামাটা এক প্রকার অপ্রত্যাশিতই ছিল। তবে রবিবার ভোটের ফল বের হওয়ার পর দেখা গেল, পদ্মশিবির থেকে নীলবাড়ির লড়াইয়ে যেসব ‘হেভিওয়েট’রা নাম লিখিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে যে ক’জন জয়ী হয়েছেন, মুকুল তার মধ্যে অন্যতম।