Too Many Requests from Your Network
Please complete verification to access this content.
Click to Verify
নেত্রকোনার পূর্বধলা সরকারি কলেজের নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারোল হক।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার বিকালে নিন্দা ও প্রতিবাদ সভা করেছে পূর্বধলা ক্লাবের সদস্যরা। প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, সাধারণ সম্পাদক জায়েজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আলী আহাম্মদ খান আইয়োব, সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী শাহীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোমান শাহরিয়ার, সাবেক সহসভাপতি নূর আহাম্মদ খান রতন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সদস্য মোস্তাক আহমেদ খান, আল মনসুর, সুহাদা মেহজাবিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শাহ মোস্তাফিজ রাজিব, জিয়াউর রহহমান প্রমূখ।
সভায় জানানো হয়, পূর্বধলা সরকারি কলেজটি এ এলাকার উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে কলেজটিতে শিক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে আসছে। কিন্তু কলেজের নিয়মিত অধ্যক্ষের পদটি শুন্য হলে উপাধ্যক্ষ জনাব মাে: আনােয়ারােল হক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কলেজে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যস্থাপনার কারণে কলেজে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হতে শুরু করে। এতে এলাকার সচেতন মহল, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ নানা মহলে ক্ষোভ দেখা দেয়।
তিনি ২০১৯ সালে স্নাতক পরীক্ষার্থীদের ফরম পুরণে অতিরিক্তি ফি আদায় করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ । অতিরিক্তি ফি আদায়সহ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে কলেজে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অমান্য করে বিধি বহির্ভূত ভাবে অতিরক্তি টাকা আদায় করেন ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে কলেজের জায়গা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমােদন ছাড়াই অবৈধ ভাবে ইজারা দিয়েছেন। ইজারাকৃত জায়গা ভরাটের নামে সরকারি জায়গা থেকে মাটি কাটা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন স্থানীয় প্রশাসন।
এ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে করােনার মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। নাম মাত্র একটি প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা ফির নামে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে মােট কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করে নিয়েছেন। আদায়কৃত টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিধি বহির্ভূত ভাবে খরচ করেছেন বলে অভিযােগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযােগ রয়েছে। ইতিমধ্যে তার এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেকেই সংবাদপত্রসহ সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে লেখালেখি করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও
জেলা প্রশাসক বরাবর একাধিক লিখিত অভিযােগও দায়ের করেছেন জনৈক ব্যক্তি।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জায়েজুল ইসলাম উক্ত ঘটনাগুলাের সংবাদ পরিবেশন করেন । সর্বশেষ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে করােনার মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে গত ২৫ এপ্রিল ২০২১ খ্রি. ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনােয়ারুল হক মহােদয়ের বক্তব্য জানতে তিনি তার মুঠোফোনে ফোন দেন। প্রথমে তিনি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া এবং পরীক্ষার ফিস ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে জানিয়ে তার ফোন কেটে দেন। কিছুক্ষণ পর অধ্যক্ষ তাকে ফোন দিয়ে ২৯ এপ্রিল কলেজে গিয়ে এবিষয়ে তার বক্তব্য আনতে বলেন। তখন জায়েজুল ইসলাম তাকে জানান, আপনি ইতিমধ্যে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতেই চলবে । আরও তথ্যের প্রয়ােজন ২৯ তারিখ তিনি কলেজে যাবেন।
একথা বলার পরই তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আপনি কলেজের বিষয়ে আন্দাজে ভুল ও বানােয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছেন। আপনি আমার কাছে ২০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে এমনটা করছেন। আমি আপনার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করব ।
তার এমন মিথ্যা অভিযােগের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জায়েজুল ইসলাম বলেন, আপনার কাছে আমি কোনাে চাঁদা দাবি করিনি। আর তথ্য প্রমাণ থাকলে আপনি ব্যবস্থা নেন। এটা বললে তিনি ফোন কেটে দেন। এমতাবস্থায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব আনােয়ারোল হকের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি আড়াল করতে পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জায়েজুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযােগ এনেছেন।
এতে তার ব্যক্তিগত এবং প্রেসক্লাবের র্দীঘ দিনের সুনাম ক্ষুণ ও মানহানি হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এমন মিথ্যা অভিযােগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। তারা তদন্ত পূর্বক প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের দাবি জানান।