Please complete verification to access this content.
বুধবার (২৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়িতে এই কর্মসূচি পরিচালনা করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন। প্রতি তিন ফুট দূরত্বে সাজানো স্টলগুলোতে ছিল সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগৃহীত টাটকা সবজি, লাউ, টমেটো, কাঁচামরিচ, জ্যান্ত মাছ, পিয়াজ, আলু ও ইফতারের জন্য পবিত্র মদিনার খেজুর।
আয়োজকরা জানান, প্রতিটি হাটে আয়োজন থাকে ৫০০ পরিবারের পুরো এক সপ্তাহের বাজার। আজকের হাটেও তাদের জন্য ছিল প্রয়োজনীয় বাজার সদাই। সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়, শীলাবৃষ্টি ও গরম বাতাসে এই অঞ্চলের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারো বাড়ি ইউনিয়ন ফ্রি হাট কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচির সমন্বয়ক এ কে এম আজহারুল ইসলাম পলাশ জানান, কর্মহীন মধ্যবিত্ত পরিবারের যারা লোকলজ্জার কারণে সংকোচরোধ করেন, তাদের জন্য আমরা ফোনকলে সেবা গ্রহণের ব্যবস্থা রেখেছি। মোবাইলে আমাদের জানালে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা প্রযোজনীয় বাজার বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে।
মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, পবিত্র রমজান ও মহামারির মধ্যে ক্রয়সামর্থহীন মানুষের জন্য পুরো রমজান মাসে হাট চলমান থাকবে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে সহস্রাধিক পরিবারের জন্য নতুন পোশাক প্রদানের পরিকল্পনাও রয়েছে। গতকালের ফ্রি হাটে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। হাট চলাকালীন কর্মসূচি পরিদর্শন করেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
হাটের প্রবেশ পথে হাত জীবানুমুক্ত করতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ইনফারেড থার্মোমিটার দিয়ে প্রত্যেকের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়। হাটে স্বেচ্ছ্বাসেবী দোকানি-ক্রেতাদের গ্লাভস ও মাস্ক ছিল।