Please complete verification to access this content.
বুধবার (২৮এপ্রিল) সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বিষ্ণুদী গ্রাম থেকে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সালথা থানা পুলিশ। জান্নাতী বিষ্ণুদী গ্রামের মৃত বাচ্চু শেখের মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী। জান্নাতীর দাদী রুকি বেগম অভিযোগ করে বলেন, জান্নাতীর বাবা ৬ বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর অভাবের তারনায় জান্নাতীর মা জোসনা বেগম জান্নাতীকে আমার কাছে রেখে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে তিনি একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করে। এরপর থেকে আমি জান্নাতীর লালন-পালন করে আসছি। ভিক্ষা করে আমি তার লেখাপড়ার খরচ চালাতাম।
তিনি আরো বলেন, জান্নাতী মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার সময় প্রতিবেশী মানি শেখের ছেলে বাসার শেখ (৩৫) তাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। অভিযুক্ত বাসার বিবাহিত। তার দুই স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। প্রেমের বিষয়টি বাসার স্ত্রী-সন্তানরা জানার পর তারা বিভিন্নভাবে জান্নাতীকে ভয়ভীতি দেখায় ও এলাকার সবাইকে জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জান্নাতী ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছে। তারপরেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে