jhenukmedia.com
ঢাকা, সোমবার , ১২ মে ২০২৫



  1. সর্বশেষ

এতো মৃত্যুর মধ্যেও কুম্ভমেলায় হাজারো মানুষ!

প্রতিনিধির নাম
২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

Link Copied!

Too Many Requests from Your Network

Please complete verification to access this content.


Click to Verify

ভারতে কুম্ভমেলার শেষ শাহী স্নানেও ২৫ হাজার পুণ্যার্থী এবং অন্তত এক হাজার ৩৫০ জন সাধু-সন্তের জমায়েত হয়েছে। মঙ্গলবার মেলা শেষ হওয়ার তিন দিন আগে এই শেষ শাহী স্নান অনুষ্ঠিত হয়। আর তাতে অংশ নিতেই ঢল নামে মানুষের। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

হরিদ্বারের হর কি পৌরি ঘাটের ব্রহ্মকুণ্ডে গঙ্গায় ডুব দেয় পুণ্যার্থীরা। মেলা কর্তৃপক্ষের দাবি, মোট পুণ্যার্থীর এক শতাংশ এদিন শাহী স্নানে অংশ নিয়েছে।

শাহী স্নানের কয়েক ঘণ্টা পর হরিদ্বার জেলা প্রশাসন সন্ধ্যা থেকে করোনা কারফিউ জারি করে। ৩ মে সকাল পর্যন্ত চলবে এই কারফিউ। কয়েকদিন আগে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জেরে তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে এই কুম্ভমেলা নিয়ে। বিতর্কের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধু-সন্তদের উদ্দেশে বার্তা দেন, সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবার প্রতীকী কুম্ভমেলা উদযাপন করা হোক। সাধু-সন্তদের জুনা আখড়া তা মেনেও নেয়। কিন্তু মঙ্গলবারের চিত্র দেখে তেমনটা মনে হয়নি।

কুম্ভমেলার আইজি সঞ্জয় গুঞ্জাল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের পর এবং মুখ্যমন্ত্রীর বারবার তদারকির পর সাধুদের আখড়াগুলো এদিন ভিড় কম রাখার চেষ্টা করেছিল। গত তিন দিন ধরে আখড়াগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে জমায়েত নিয়ে। তারা শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখেছিলেন। এমনকি নাগা সন্ন্যাসীরাও মাস্ক পরেছিলেন।

কিছু পুলিশ কর্মকর্তাও শাহী স্নানে অংশ নেন। তাদের দাবি, এটা প্রতীকী ছিল। গত ১১ মার্চ প্রথম শাহী স্নানের সময় মেলায় ৩২ লাখ পুণ্যার্থীর ভিড় ছিল। ২৭ মার্চ দ্বিতীয় শাহী স্নানের সময়ও একই সংখ্যক ভিড় ছিল। তৃতীয় শাহী স্নানের সময় ১৪ এপ্রিল সেই ভিড় অর্ধেক হয়ে যায়।

এদিকে বেশি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট, কম টিকাদান আর বড় জমায়েতের কারণে ভারতের করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মঙ্গলবার সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এসব কারণের সঙ্গে ভারতের মানুষের অপ্রয়োজনে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।

ভারতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ এক হাজার ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহ আর শয্যা না থাকায় রোগী ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে দেশটির হাসপাতালগুলো। মরদেহের চাপ বাড়তে থাকায় ভারতের শ্মশানগুলোতে নির্মাণ করা হচ্ছে অতিরিক্ত চিতা।

করোনা মোকাবিলায় ভারতকে জরুরি সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহ করছে ডব্লিউএইচও। চার হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ এসব সামগ্রী ভারতে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক।

ডব্লিউএইচও মুখপাত্র জানান করোনায় আক্রান্ত ১৫ শতাংশেরও কম মানুষের হাসপাতালের সেবার দরকার পড়ে আর তার চেয়েও কম মানুষের দরকার হয় অক্সিজেনের। তিনি বলেন, বর্তমানে সমস্যার বড় একটি কারণ হলো বহু মানুষ অপ্রয়োজনে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছেন, যদিও বাড়িতেই খুব নিরাপদে তাদের সেবা দেওয়া সম্ভব।

ডব্লিউএইচও মুখপাত্র বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীকে বাড়িতে রেখেই নিরাপদে পরামর্শ দেওয়া সম্ভব। এছাড়া হটলাইন কিংবা ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে এই সংক্রান্ত তথ্য সবাইকে জানানো যেতে পারে।

মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে প্রধানমন্ত্রীর বৃক্ষরোপণ-বেঞ্চ উৎসর্গ

নাগরপুরে বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছে কৃষকের ধান

প্রেডরাগের ছেলের সাথে ছবি তুললেন মেসি

তল্লাশি চালাচ্ছে তালেবানরা

পিএসজিতে যোগ দিতে প্যারিসে মেসি

অন্তঃসত্ত্বা-স্তন্যদায়ী মায়েদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত

শামস শামীম রচিত ‘পাঁচ নম্বর সেক্টর: খেতাবপ্রাপ্ত’ প্রকাশ করেছে চৈতন্য

রাজ-পরীমনি সিন্ডিকেটে দুই ডজন প্রভাবশালী!

নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে শেখ কামালের জন্মদিন পালিত

কিশোরগঞ্জে গায়ে গরম পানি ঢেলে গৃহবধুর শরীর ঝলসে দেয়ার অভিযোগ

ভাষা সৈনিক,সাংবাদিক আব্দুল হামিদ মাস্টারের মৃত্যুবাষিকী পালিত

অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ,পঙ্গু হওয়ার পথে কৃষি শ্রমিক জাহাঙ্গীর!