Please complete verification to access this content.
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী হাওরাঞ্চলের নগর ইউনিয়নে ধান কাটতে যায়। প্রায় ২০-২৫ দিন আগে থেকে শ্রমের বিনিময়ে ধান নিয়ে হাওরের ধান কাটা শুরু করেন। শ্রমিকদের থাকার জন্য হাওরে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে রাত্রি যাপনসহ শ্রমের বিনিময়ে পাওয়া ধান রাখা হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরের পর ২০ জনের টিমের অন্য শ্রমিকরা ধান কাটতে গেলে রান্নার দায়িত্বে থাকা শ্রমিক সাইদুল মিয়া(৪০) দুপুরের রান্না করে ঘুমিয়ে গেলে চুলা থেকে অস্থায়ী ঘরে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার খবরে ওই গ্রামের শতাধিক মানুষ গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে গোলায় থাকা শ্রমিকদের প্রায় ১০০ মন ধান, ও নগদ ৫০ হাজার টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন সেটসহ শ্রমিকদের এক মাসের খাদ্য সামগ্রী পুড়ে যায়। এসময় ঘরে থাকা আসবাবপত্রসহ সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে।
নগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আশুতোষ সরকার বলেন, ‘শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে পাওয়া প্রায় শতাধিক মণ ধানসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। থাকার আসবাবপত্র, অস্থায়ী ঘর নগদ টাকা, কয়েক মোবাইল ফোনসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। ওই শ্রমিকরা খুব সমস্যায় পড়েছেন ।
শ্রমিক সর্দার আল-আমীন মিয়া বলেন, ‘আমরা হগলদিনের মতন আইজকাও হাওরে ধান কাটতে যাই দুপুরে হঠাৎ ফোন আয় আমারার থাহনের ঘরে আগুন লাগছে দৌড়ে গিয়া দেহি আমাগোর সব শেষ। ২৫দিনে ধান কাইটা যা পাইছি সব পুইরা ছাই হইয়া গেছে, তাহনে ঘর, খাওনের চাইল ডাইল সব পুইড়া গেছে। আমরা এহন কই থাকমু, কি খামু।’
এ বিষয়ে খালিয়াজুরীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর শুনেই পরিদর্শন করি,জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান স্যারের নির্দেশে শ্রমিকদের খাবার, প্রয়োজনীয় সামগ্রী থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আহত শ্রমিককে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) জেলাপ্রশাসক স্যারের পক্ষ থেকে ৪০হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।