Please complete verification to access this content.
নিজেকে এক প্রভাবশালী সংসদ সদস্য দাবি করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদবির করতেন চাকরির জন্য। চাকরি দেয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক তারেক সরকারকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন নরসিংদীর তারেক সরকার। ২০২০ সালে শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অন্যান্য অভিযোগে চাকরি থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এমপি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহে ছিল তার। নিজের ব্যক্তিগত নম্বর দিয়ে হোয়াটস অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলেন বাগেরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের নামে। সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সরকারি সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তদবির করতেন চাকরির জন্য। এভাবেই শুরু করেন নিয়োগের নামে প্রতারণা।
কারারক্ষী পদে নিয়োগের জন্য কারা মহাপরিদর্শককে তদবির করতে গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রি. জেনারেল মোমিনুর রহমান বলেন, ‘মিথ্যা এবং ভুয়া পরিচয় দিয়ে নিয়োগের ব্যাপারে বা বদলির ব্যাপারে বিভিন্ন তদবির করার চেষ্টা করে। সেই ঘটনাই ঘটেছে সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের সঙ্গে। তখন উনি যাচাই-বাছাই করে আমাকে নম্বরটা দিতে বললেন এবং সেভাবেই মনে হয় ভুয়া হিসেবে ধরা পড়েছে।’
বাগেরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের এপিএসের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রতারক তারেক সরকারকে।
ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, যখন দেখত যে তার প্রোফাইল পিকচারে একজন এমপির ছবি দেওয়া বা মন্ত্রীর ছবি দেয়া স্বাভাবিকভাবে তাদের মনে বিশ্বাস জন্মাত যে, এই লোকটা জেনুইন হবে হয়তোবা। পরবর্তীতে দেখা গেছে যে, যখন তারা যাচাই করতে গেছে তখন তারা বুঝতে পেরেছে যে এই লোকটা আসলে ফেইক। সে ছদ্মবেশ ধারণ করেছে।
প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতারকরাও তাদের কৌশল পাল্টাচ্ছে। প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচতে তথ্যের সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের পরামর্শ পুলিশের।