মহামারী করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবের শুরুর দিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করেছিলো কাতার সরকার। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায়, ছুটি কাটিয়ে কাতারে ফিরে আসার পর আর হোটেল ও মোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না প্রবাসীদের। এছাড়া কাতারে ফেরার পূর্বে পিসিআর টেষ্টও করতে হবেনা বলে সুখবর দিয়েছে দেশটির সরকার।
কাতারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবধকতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে যারা কাতারে আসবেন তারা এখন থেকে পিসিআর টেষ্ট ও হোটেল কোয়ারেন্টিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।
১ম, ২য় ও বুষ্টার ডোজ প্রাপ্তদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য করে গতকাল বৃহস্পতিবার কাতার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এক ঘোষণা প্রদান করেন। কোভিড-১৯ ভ্রমণ পলিসি এবং কাতারে ফিরে আসার নিয়ম অনুযায়ী এই ঘোষণা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টা থেকে কার্যকর শুরু হবে।
কাতার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যারা কাতার থেকে টিকা নিয়ে দেশে গিয়েছেন অথবা বাংলাদেশ থেকে টিকা প্রাপ্ত হয়েছেন এবং করোনা আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে আসবেন, তাদের বেলায় কাতারে আসার আগে আর পিসিআর টেষ্ট করাতে হবে না। তবে কাতারে আসার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে র্যাপিড এন্টিজেন টেষ্ট করাতে হবে।
এছাড়া যারা করোনা টিকা নেননি বা করোনায় কখনো আক্রান্তও হননি, তাদের বেলায় কাতারে আসার আগে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পিসিআর টেষ্ট করাতে হবে এবং তাদেরকে পাঁচ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এবং শেষের দিন র্যাপিড এন্টিজেন টেষ্ট করাতে হবে।
এদিকে, যারা ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে কাতারে আসবেন, তারা যদি করোনা টিকা প্রাপ্ত হন তাহলে আসার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পিসিআর টেষ্ট করাতে হবে এবং একদিনের হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এবং র্যাপিড এন্টিজেন টেষ্ট করাতে হবে। এছাড়া টিকাবিহীন ভিজিট ভিসায় কাতারে আসা যাবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় আরও বলা হয়, টিকা প্রাপ্তদের এই টিকার মেয়াদ হতে হবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর থেকে ৯ মাস বা বুষ্টার ডোজ নেওয়ার পর থেকে নয় মাস, তবে এর অধিক সময় পার হলে টিকাপ্রাপ্ত বলে বিবেচিত হবে না।
এছাড়াও বলা হয়, যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তার কাছে যদি সুস্থ হওয়ার সার্টিফিকেট থাকে, তবে তার টিকা না নিলেও নয় মাস পর্যন্ত টিকাপ্রাপ্তদের মতো সুবিধা পাবেন।
কাতার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমন সময়োপযোগী পদক্ষেপে কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশ্বাস, এবার ভোগান্তি কমিয়ে বাড়তি অর্থ ব্যয় থেকে পার পাবেন তারা।