পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান গভীর রাতে বাসস্ট্যান্ড-রেলওয়ে স্টেশনে রিকশাচালক, সিএনজিচালিত, অটোরিকশার চালক ও ছিন্নমূল ব্যক্তিদের মাঝে ঘুরে ঘুরে ৪ শতাধিক কম্বল ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাস্ক বিতরণ করেছেন।
২০ জানুয়ারি বুধবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শহরের বাস টার্মিনাল, ঈশ্বরদী রেলস্টেশন, পাবনা রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম, রাস্তা ও লাইনের পাশে শীতবস্ত্রহীন থাকা অসহায়, হতদরিদ্র, পথশিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল ও মাস্ক বিতরণের সময় পুলিশ সুপার মো. মহিবুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ মাসুদ আলম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম, ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের ছিন্নমূল গরিব ও অসহায় শীতার্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের মাঝে কম্বল পৌঁছে দিচ্ছেন। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন এতিমখানাতেও শীতবস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।
কনকনে শীতের মধ্যে হঠাৎ পুলিশ সুপারের হাতে শীতবস্ত্র দেখে ছিন্নমূল অসহায় ও প্রতিবন্ধীরা আবেগে আপলুত হয়ে পড়েন। ঈশ্বরদী রেলস্টেশনের রহিমুন্নেছা নামের এক বৃদ্ধা নারী বলেন, ‘পুলিশ বেটারা এহানে আইসা কম্বল দিয়া গেছে। এহন আর শীত লাগছে না। রাতি ভালো করে ঘুমাতি পারব।’
পাবনা শহরের বাস টার্মিনালে থাকা বৃদ্ধ রায়হান বলেন, ‘রাতে টার্মিনালে প্রচন্ড শীত পড়লেও কেউ শীতের কাপড় দেয় না। একটা কম্বলের জন্যি কত মানুষের কাছে যে গেছি বলতে পারি না। রাতে পুলিশ বেটারা আমাদের অনেককে কম্বল দিছে। সঙ্গে কয়েকটা করে মাস্কও দিছে। এহন ভালো লাগছে।’
কম্বল বিতরণ শেষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, প্রচন্ড শীতে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষকে একটা করে কম্বল দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে! এই শীতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব বলে মনে করি।
শীতে কোনো দুস্থ পরিবার যেন শীতের কষ্ট না পায়, সে জন্য তাদের পাশে এসে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছি। শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ পুলিশ অসহায়দের পাশে অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানবিক কাজেও এগিয়ে আসছে বলে জানান তিনি।