মোঃ নূরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার

পাবনার চাটমোহরে সরকারি খাদ্যগুদামে এবার ৬৫৯ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান ও চাল সংগ্রহের সময়সিমা ২৮ ফেব্রয়ারি থাকলেও এর বিপরীতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলার খাদ্য গুদামে ১ কেপি ধানও সংগ্রহ হয়নি।

চাটমোহর উপজেলার কয়েজন কৃষক বলেন, খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু কম শুকানো হলে নিতে চায় না। তখন ধান নিয়ে আবার ফেরত আসতে হয়। তখন অতিরিক্ত পরিবহন খরচ গুনতে হয়। আর বাজারের পাইকারদের কাছে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কিছু কিছু পাইকার ধান মাড়াইয়ের পর বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। তারা আরো বলেন, সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৮ এবং চাল ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে বিক্রি করলে ভালো দাম পাচ্ছি। চাটমোহর উপজেলায় ৬৬ টি মিল থাকলেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মাত্র ২টি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিল মালিক বলেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারেই ধান ও চালের মূল্য বেশি। বাজারে পর্যাপ্ত ধানও নেই। বেশি দামে ধান কিনে গুদামে কম দামে চাল সরবরাহ করবো কীভাবে। এছাড়া ধান ও চালের মানের বিষয়ে কড়াকড়ি ও গুদামে ধান চাল দিলেও টাকা তুলতে সময় লাগে। টাকা পাওয়া নিয়ে ব্যাংকে ঘোরাঘুরিসহ বিভিন্ন ঝামেলার কারনে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হান্নান জানান, এ বছর আমন মৌসুমে ৫৬৯ মেট্রিক টন চাল এবং ৬৫৯ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই মাসে ১ কেজি ধান ও চাল কিনা সম্ভব হয়নি। বর্তমান বাজার দরের চেয়ে সরকারি দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চার টাকা কম হওয়ায় কৃষকরা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না। তিনি আরো বলেন, যেহেতু অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রয় ও পেমেন্ট উঠাতে পারেন তাই এখানে আমাদের কোনো অনিয়ম নেই। আমরা ধান-চাল সংগ্রহে ও সরকারের সকল লক্ষ্য পূরণে সম্পূর্ণ আন্তরিক।

Buy,Sale,Rent Property in Dhaka Bangladesh at ghorbareewala

Visit Ghorbaree Wala

Buy,Sale,Rent Property in Dhaka Bangladesh at ghorbareewala

Visit Ghorbaree Wala