উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) এক্সেল ভন টর্টসেনবার্গ। এসময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক সভায় এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভায় বিশ্বব্যাংকের এমডি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের অভীষ্টে পৌঁছাতে বিশ্বব্যাংকের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। সভায় বিশ্বব্যাংকের খসড়া কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (সিপিএফ) নিয়েও আলোচনা হয়। অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ জানান, সিপিএফ-এ বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
এসময় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, দুর্যোগ মোকাবিলা খাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে, বিশেষত করোনাকালীন বাজেট সহায়তা, কোভিড মোকাবিলা এবং কোভিড ভ্যাকসিন ক্রয়ে অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। তিনি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের আরও জোরদার ও ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকাকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংক এবং ৫০ বছরের অংশীদারত্বকে মনে রাখতে মেগা প্রকল্পে অর্থায়নে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। এছাড়াও এলডিসি উত্তরণে বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিজ শরিফা খান, অতিরিক্ত সচিব মোঃ শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী। বিশ্বব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মার্টিন রেইজার, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট, আব্দুলায়ে সেক, কান্ট্রি ডিরেক্টর, মিজ ড্যানডান চেনসহ অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ।