শান্তি নিকেতনের গাছে গাছে এসেছিল আমের মুকুল।মুগ্ধ কবি গুরু করেছিলেন তার বন্ধনা। গাছে গাছে আমের মঞ্জুরিকে বিশ্ব কবি তুলনা করেছিলেন পুর্ণিমা চাঁদের সঙ্গে। ঠিক তাই নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রত্যান্ত গ্রাম থেকে শহরঞ্চলে স্মরণকালের দৃশ্যমান শাখা-প্রশাখায় মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছ।এ যেন সোনালী মুকুলের রাজ্য।বসন্তের দক্ষিণা হাওয়ায় নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।
আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে গা ভাসিয়ে মধু পিয়াসি মৌমাছিসহ অন্যান্য মাছির গুন গুন শব্দে চারিদিক যেন এক রোমাঞ্চকর আবেশ।মুকুলের মাতাল করা গন্ধে কাছে টানছে ডানা মেলা পাখিকেও। এতে আমের মালিকরাও মেতে উঠেছেন পরিচর্যা,সেচ ও গুটি রক্ষায় চলছে দফায় দফায় স্প্রে। আম,কাঠাঁল,জাম,লিচু,পেয়ারাসহ নানা ফলের ফুল এসেছে গাছে গাছে।বিশেষ করে আম ও লিচুর মুকুল আর কাঠাঁলের কুঁড়ি নজড় কাড়ছে সবার।সরেজমিনে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের যে দিকে তাকা যায়,সে দিকের পথ-ঘাট ,বসত বাড়ির আনাচে-কানাচে,পুকুড় পাড়,শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান,অফিস ভবনের আশপাশ,বাগানের ছোট-বড় সব গাছে গাছে মুকুল হাসছে। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ছে ডালপালা। এ যেন আমের রাজ্য।স্থানীয়রা জানান,আমের প্রতিটি গাছে রেকর্ড পরিমান মুকুল এসেছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য আসবে।
পুটিমারি কেশবা গ্রামের বাগান মালিক রাজা জানান, ৫বিঘা জমিতে লাগানো হাড়ি ভাঙ্গা,আ¤্রপলি.ল্যাংড়াসহ বিভিন্ন গাছে নজড়কাড়া মুকুল এসেছে।এখন শুধু ভয় হচ্ছে আবহাওয়া নিয়ে।যদি কোন প্রকার ক্ষতি না তাহলে আর্থিক ভাবে সফলতার আশা করা হচ্ছে। সদর ইউনিয়নের যদুমণি গ্রামের রশিদুল জানান, তার বাড়িতে ছোট বড় ১০টি গাছে সোনালী মুকুলে ভরে গেছে।আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে প্রচুর আম পাওয়া যাবে। এতে পারিবারিক পুষ্ঠি পূরনের পাশাপাশি আসবে অর্থ।কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন,বসতবাড়ি ছাড়াও চলতি বছর ৭০ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রায় শত ভাগ গাছে মুকুল এসেছে । ঝড় বৃষ্ঠিতে মুকুল ঝড়ে পড়াসহ ক্ষতির পরিমান কমিয়ে আনতে আম চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে মুকুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আমের বিপ্লব ঘটবে। এতে ফল চাষিরাও লাভবান হবেন।