বড়দিনকে সামনে রেখে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নতুন করে এই বিধিনিষেধ আরোপ করছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় দফা ঢেউ আগের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
সতর্কবাণীর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনার নতুন সংক্রমণের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিবর্তে এটি আরও কড়াকড়ি করার ঘোষণা দিয়েছেন। বড়দিনের উৎসব উদযাপন ও লোকজনের মেলামেশার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন কঠোরভাবে মানতে বলেছেন তিনি। স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের নেতারাও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। একই পথে হাঁটছে অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডাসহ অন্যান্য দেশ।
ইউরোপে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২০ লক্ষাধিক মানুষ। মারা গেছেন ৬৭ হাজারের বেশি লোক। বড়দিন সামনে রেখে পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, সে লক্ষ্যে আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রী বরিস দেশকে প্রায় লকডাউন পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য সিডনিতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই বিধিনিষেধের আওতায় ঘরোয়া সমাবেশে ১০ জনের বেশি মানুষ একত্র হতে পারবেন না। বড় কোনো অনুষ্ঠানে ৩০০ এর বেশি মানুষ অংশ নিতে পারবেন না। ঝুঁকি এড়াতে লোকজনকে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দেশজুড়ে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, পানশালা ও ক্লাব বন্ধ থাকবে। এছাড়া, ইতালি, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্কসহ আরও কিছু দেশ নানা বিধিনিষেধ আরোপের কথা জানিয়েছে।