আরও এক দফা নেমেছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে এখন সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। পেঁয়াজের পাশাপাশি আদা ও রসুনের দামও কমেছে। আদা ৭০-১২০ এবং রসুন ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাওরান বাজারে সবজি কিনতে আসা মামুন অর রশিদ বলেন, টাটকা সবজি পেতে তিনি প্রতি শুক্রবার কাওরান বাজার থেকে সবজি কিনেন। তবে গত এক বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে সবজি। প্রতিপিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সবজি বিক্রেতা ময়না বলেন, শীত প্রায় শেষের দিকে সে জন্য বাজারে সবজির বেশি আসছে। এ সময়টাতে সব ধরনের সবজির দাম কম থাকে। তবে সরববরাহ বাড়া ও ‘খেতি’ উৎপাদন ভাল হওয়ায় এবার দাম কম। তিনি বলেন, সবজির দাম কমায় বাজারে স্বস্তি বিরাজ করছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা কেজি, প্রকার ও মানভেদে শিম ও বেগুন ২৫-৩০, কাঁচা টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা ও পাকা টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে, সয়াবিন তেল লিটার ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মশুর ডাল কেজি ৬০ থেকে ৯০ টাকা, মুগ ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহেও ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতিহালি ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়, চিনি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সবজির পাশাপাশি নিত্যপণ্যের বাজারে মাছ ও মাংসের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। দেশী জাতীয় মাছের সরবরাহ বেড়েছে। নদী, নালা, খালবিল ও হাওরের মাছ আসছে ঢাকায়। ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকায়। এছাড়া ছোট সাইজের প্রতিজোরা ইলিশ ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা পর্যায়ে। এছাড়া রুই মাছ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০-১২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা দরে কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পূর্বর ন্যায় গরুর মাংস প্রতিকেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসীর মাংস প্রতিকেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।