যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইরান ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, আমরা ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রয়োগ করে ইরানের ওপর দেয়া জাতিসংঘের অস্ত্র বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা বর্ধিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুতে আলাদা একটি বৈঠক ডেকেছেন যেন জাতিসংঘে বিরোধিতার সৃষ্টি না হয়। তার এই উদ্যোগে আমি সম্ভবত অংশগ্রহণ করতে পারবো না। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে আমরা ফের নিরাপত্তা পরিষদে প্রচেষ্টা চালাবো।
আল জাজিরা বলছে, ২০১৫ সালে ৬ বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা চুক্তির একটি শর্ত ব্যবহার করে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বর্ধিত করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। যাকে ‘স্ন্যাপব্যাক’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে সে চুক্তিটি থেকে একতরফাভাবে বের হয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে দেশটির জাতিসংঘে দেয়া প্রস্তাব প্রসঙ্গে চুক্তিতে থাকা অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে বের হয়ে গেছে। তাদের এখন সে বিষয় নিয়ে আলোচনা বা প্রস্তাব দেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।
এর ফলশ্রুতিতেই গত শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র বিষয়ক নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধির মার্কিন প্রস্তাব মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১১টি রাষ্ট্র ভোট প্রদানে কোনো আগ্রহই প্রকাশ করেনি। ফলে প্রস্তাবটি পক্ষে ভোট এসেছে ২টি, আর বিপক্ষে পড়েছে ২টি।
জাতিসংঘে ইরান ইস্যুতে যেন কোনো বিরোধের সৃষ্টি না হয়- সেজন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এক অনলাইন আলোচনা সভার আহ্বান করেছেন। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও ইরানকে আহ্বান জানান। এতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন সাড়া দিলেও প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প।