করোনাকালে কর্মহীন হয়ে বাড়িভাড়া বকেয়া রাখায় তিন পরিবারকে বের করে দিয়েছে বাড়িওয়ালা। নগরীর আকবরশাহ থানার কৈবল্যধাম আশ্রম গেট এলাকার মনির ভূঁইয়ার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে দুই শিশু সন্তান ও এক গর্ভবতী নারীও রয়েছেন।
জানা গেছে, বাড়িভাড়া বাকি থাকায় বাড়ির মালিক স্বপ্না বেগম ভাড়াটিয়া মো. মোজাহিদ, আবলা দাশ ও রেখা দাশের পরিবারের সদস্যদের রাতেই জোরপূর্বক ভাড়া বাসা থেকে বের করে দেন। পরে তারা আকবরশাহ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও রবিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।
ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়া মো. মোজাহিদ বলেন, তিনি পেশায় একজন ট্রাকচালক। করোনায় দীর্ঘদিন বেকার থাকার পরেও নিয়মিতভাবে বাড়িভাড়া পরিশোধ করে আসছিলাম। কিন্তু এখন অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত দুই মাস বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে পারিনি। আমাদের প্রতিবেশী আবলা দাশ ও রেখা দাশও গত তিন মাসের বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি। তারা পেশায় একজন গৃহকর্মী, অপরজন সুইপার। চলতি মাসের এক তারিখ রাতেই আমাদের বাসা থেকে জোর করে বের করে দেন। আমাদের এক কাপড়েই বাসা থেকে বের হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে দুইজন শিশু ও এক গর্ভবতী নারী আছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে বাড়িভাড়া পরিশোধ করে দেয়ার ওয়াদা করার পরও বাড়িওয়ালা স্বপ্না আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক স্বপ্না বেগম বলেন, একেক পরিবারের ৫-৬ মাস ধরে ভাড়া বাকি রয়েছে। আমরাও বাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়ে চলি। তাই তাদের বাসা ছেড়ে দিতে বলেছি।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি সত্য, তবে এটি নাগরিক সমস্যা তাই পুলিশ কিছু করতে গেলেই নানা কথা উঠবে। দেখছি কি করা যায়।’